সারা পৃথিবী যখন মহামারী করোনার ভাইরাসে আক্রান্ত তখন অন্যদিকে নাসার (NASA) বিঞ্জানিরা আবিস্কারের খবর দিল এক দ্বিতীয় পৃথিবী অর্থাৎ নতুন গ্রহ যেখানে প্রাণ প্রতিষ্টা করা যাবে বলে সম্ভবনা করছেন বিঞ্জানিরা। আজ আমরা এই নতুন গ্রহ নিয়েই বেশ কিছু তথ্য জানব।
এই নতুন গ্রহর নিয়ে জানার পূর্বে আমরা সৌরমণ্ডলের নিয়ে বেশ কিছু তথ্য যেগুলো না জানলে গ্রহের ব্যাপারে সম্পূর্ণ ধারণা পাওয়া যাবে না। সৌরজগতে সূর্যকে কেন্দ্র করে মোট নয়টি গ্রহ পরিক্রমণ করে, তাদের মধ্যে পৃথিবী ও বাদ যায় না
আমাদের এই পৃথিবীতে প্রাণের সৃষ্টি হয় কোটি কোটি বছর আগে এবং প্রথম প্রাণ সৃষ্টি হয় জলে, যা অন্য কোনো গ্রহে সন্ধান পাওয়া যায় নি। বৈঞ্জানিকদের মতে সূর্য থেকে পৃথিবী একটি নির্দিষ্ট দূরত্ম হওয়ার কারণে পৃথিবীতে জলের অস্তিস্ত্ব পাওয়া যায়, এই দূরত্মকে বলা হয় হ্যাভিটেবেল জোন ( HAVITABLE ZONE)। এই জোনের জন্যে পৃথিবীতে বেশি গরম ও বেশি ঠান্ডা কোথাও পাওয়া যায় না। এই কথা শুনে মনে হতে পারে যে আর অন্য কোনো গ্রহ নেই যেটি পৃথিবীর মতো এরকম জোনে রয়েছে।
নাসার বৈঞ্জানিকদের কাছ থেকে জানা যায় যে এমন বেশ কয়েকটি গ্রহ খুজে পাওয়া গেছে যেগুলি তার সৌরমণ্ডলের সূর্যের হ্যাভিটেশন জোনে অবস্থিত এবং ওই গ্রহগুলির মধ্যে প্রাণের সন্ধান থাকলেও থাকতে পারে।
নাসার মতামত অনুসারে যে সৌরমণ্ডলের কথা জানা যায় সেটি পৃথিবী থেকে প্রায় চল্লিশ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত, সেই গ্রহগুলি নিজস্ব সূর্যকে প্রদক্ষিন করছিল ঠিক যেমন পৃথিবী ও অনান্য গ্রহগুলি সূর্যকে প্রদক্ষিন করে। মহাকাশ বিঞ্জানিরা সর্বপ্রথম ২০১৫ সালে কেপলার টেলিস্কোপের সাহায্যে সন্ধান পেয়েছিল এই সৌরজগতের সাতটি গ্রহের নিয়ে। এই সাতটি গ্রহের মধ্যে একটি গ্রহের সঙ্গে মিল রয়েছে পৃথিবীর, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ১.০৬ গুন বড়ো এবং পৃথিবীতে সূর্যের যা আলো পৌঁচ্ছায় নতুন এই গ্রহ থেকে তার নক্ষত্রে আলোর ৭৫ ভাগ পৌঁচ্ছায়। আশা করা যায় এই গ্রহের নিয়ে আরো অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন