সেপ্টেম্বরে চূড়ান্ত পরীক্ষা ক্লার্কশিপের। বছর শেষেই নিয়োগ।
সেপ্টেম্বরে ক্লার্কশিপের চূড়ান্ত পরীক্ষা হতে চলছে। করোনা আবহে সবকিছুর মতো চাকরি প্রার্থীদের জীবনও ভোরে গেছে অনশ্চিয়তা। খুশির খবর হলো বছরের শেষেই হতে চলছে ক্লার্কশিপের ফাইনাল পরীক্ষা হতে চলছে , ভাগ্য ফিরে যাবে অনেক চাকরি প্রার্থীর। বছর শেষেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্য হবে। কোরোনার ফলে থমকে ছিল পাবলিক সার্ভিস এর ক্লার্কশিপ পরীক্ষা। চলতি বছরের প্রথমেই ক্লার্কশিপের প্রাথমিক (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষার ফল বেরিয়েছিল। সফল হয়েছিল ৬৬ হাজার পরীক্ষাথ্রী। কিন্তু তার পর চূড়ান্ত পরীক্ষা হওয়ার আগেই নেমে আসে সমাজে করোনা ভাইরাসের প্রভাব যার ফলে থমকে যায় সবকিছু।
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে চাকরি প্রার্থীদের কথা মাথায় রেখে চূড়ান্ত পরীক্ষার কথা ভাবা হচ্ছে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে। কমিশন সূত্রের খবর চূড়ান্ত পরীক্ষা হতে পারে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের ২৭ তারিখে। প্রাথমিক (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষায় উত্তীর্ন ৬৬ হাজার পরিক্ষাত্রী বসবেন ফাইনাল পরীক্ষায়। কমিশন সূত্রের খবর ক্লার্কশিপ প্রাথমিক পরীক্ষায় এবার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক চাকরিপ্রার্থী সফল হয়েছেন যা ঐতিহাসিক।
জানা গিয়েছে রেকর্ড সংখ্যক পরীক্ষাথ্রী পাশ করে নিয়োগ হতে পারে বেশি সংখ্যায়। যদিও পি এস সি সূত্র জানিয়েছে কতজনকে নিয়োগ করবে সরকার তা তাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। একাধিক পরীক্ষাথ্রী একই নাম্বার পেয়েছে এবার তাই পরীক্ষাথ্রীর সংখ্যা বেড়েছে এবার। তবে জানা গিয়েছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে এই মুহূর্তে ৬ হাজারের বেশি শুন্যপদ রয়েছে। এই ৬ হাজার শূন্যপদ এ বছরেই পুরান করতে চায় সরকার।
প্রসঙ্গত ক্লার্কশিপ প্রাথমিক পরীক্ষা হয়েছিল চলতি বছরের জানুয়ারির ২৫ তারিখে। ১০০ নম্বরের মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন ছিল অঙ্ক , ইংরেজি , আর জেনারেল নলেজের ওপর। পি এস সি সূত্রের খবর সাধারণ ও অসাধারণ পরীক্ষাথ্রীরা নূন্যতম ৬৫ নাম্বার পেয়ে উত্তীর্ন হয়েছেন। তাফসিলীজাতি ও উপজাতি দের ক্ষেত্রে সফল হওয়ার নূন্যতম নম্বর ছিল ৪৮.৬৭ ও ২৯.৬৭। ওবিসি-এ এবং বি দেড় জন্য ছিল যথাক্রমে ৪৩ ও ৫৬.৩৩। পরীক্ষা দিয়েছিলো প্রায় ৬ লক্ষ পরীক্ষাথ্রী যার মধ্যে সফল হয়েছেন ৬৬ হাজার ৪৯২ জন।
আগামী ২৭ সে সেপ্টেম্বর যদি চূড়ান্ত পরীক্ষা হয় তাহলে সফল পরীক্ষাথ্রীদের কম্পিউটারে এক মিনিটে বাংলা ও ইংরেজি টাইপিং স্পিডের পরীক্ষাও দিতে হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন